বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চাইলেও আর বিশ্বকাপ না খেলার সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা আবারও বললেন লিওনেল মেসি।
এদিকে, আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি বলছেন, মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবেন কিনা, সে সিদ্ধান্ত নিজে নেবার অধিকার আদায় করে নিয়েছেন। তবে এইসব আলোচনা ছাপিয়ে এখন কেবল উদযাপন করতে চায় আলবিসেলেস্তারা।
লিওনেল স্কালোনি বলেন, আমি ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ এটা ছিল পাগলামিতে ভরপুর। আমি কোচ হিসেবে হতাশ। কারণ, এমন আধিপত্য দেখিয়ে খেলার পর আমাদের ৯০ মিনিটে জয় পাওয়া উচিৎ ছিল। সর্বোচ্চ অতিরিক্ত সময়ে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা চ্যাম্পিয়ন।
সেমিফাইনাল জয়ের পর লিওনেল মেসি বলেছিলেন, ফাইনালই হবে বিশ্বকাপে তার শেষ ম্যাচ। প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের পর লিও বলেন, আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলাটা চালিয়ে যেতে চান তিনি।
তবে, সাদা-আকাশী জার্সিতে কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন এলএমটেন? লিওনেল স্কালোনির জবাব, আমার মতে পরের বিশ্বকাপের জন্য এখনই একটা জায়গা বাঁচিয়ে রাখতে হবে তার জন্য। যদিও এটা ২০২৬ সালে, তারপরও আমার মনে হয়, মেসি তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেবার অধিকার অর্জন করে নিয়েছে। বিশ্বকাপ না জিতলেও প্রযোজ্য হতো এই কথা।
কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির বয়স হবে ৩৯। বাস্তবতা জানা এলএমটেন পুরস্কার বিতরণী শেষে বললেন, আর বিশ্বকাপ না খেলার সিদ্ধান্তে অটুট আছেন তিনি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কিন্তু এরপরের আসরগুলোতে কখনও খেলোয়াড়, আবার কখনও ডাগ আউটে থেকে কোচ হিসেবেও ট্রফি জয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে ডিয়েগো। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন তার যোগ্য উত্তরসূরী মেসি।
এদিকে, ফাইনাল হারের হতাশায় পুড়ছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। তবে আর্জেন্টিনা যে ফ্রান্সের চেয়ে বেশি যোগ্য দল ছিল সেটি অকপটে স্বীকার করেছেন কোচ ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা এই কোচ।
দিদিয়ের দেশম বলেন, আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত খেলেছে, যোগ্য দল হিসেবে ট্রফিটা নিয়ে দেশে ফিরবে তারা। এই ম্যাচ ৩-০ তে হারলেও আমার আফসোস হতো না। কিন্তু ছেলেরা দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরেছে। সত্যিই এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না।
তবে ম্যাচে রেফারির পারফরম্যান্সে হতাশ ফ্রান্স কোচ। বিতর্কিত প্রথম পেনাল্টিকে হারের অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না দেশম।
মন্তব্য করুনঃ