মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম শতকে ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করে বাংলাদেশ । বাংলাদেশের পক্ষে এদিন ব্যাট হাতে অপরাজিত ১০০ রান করেন মিরাজ, এছাড়া ৭৭ রান আসে রিয়াদের ব্যাট থেকে।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচের উদ্বোধনী জুটিতে বদল আনে বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল আছেন ছন্দে। ফ্লিক করেছিলেন, খেলেছিলেন দৃষ্টনন্দন কাভার ড্রাইভও। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। চতুর্থ বলে স্লিপে বিজয়ের ক্যাচ ছাড়েন রোহিত শর্মা। হাতে চোট নিয়ে মাঠও ছাড়তে হয় তাকে। পঞ্চম বল অফ সাইড থেকে কিছুটা সুইং করে প্যাডে লাগে বিজয়ের। সিরাজের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি বিজয়। ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে এগোচ্ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
দশম ওভারে সিরাজের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন তিনি। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যেতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ২৩ বলে কেবল ৭ রান করেন লিটন।
নাজমুল হোসেন শান্ত পজিশন বদলেও বড় রান পাননি। ৩ চারে ৩৫ বলে ২১ রান করেন তিনি। উমরান মালিকের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। সাকিব ফিরে যান ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয় তার। স্লিপে দাঁড়ানো শেখর ধাওয়ান ক্যাচ ধরেন। ১ চারে ২০ বলে ৮ রান করেন তিনি।
আফিফ হোসেন ও মুশফিকুর রহিমও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২ চারে ২৪ বলে ১২ রান করে শুরুতে মুশফিক সাজঘরে ফেরত যান ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে একই বোলারের ওভারে বোল্ড হয়ে যান আফিফ।
হুট করে ১৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচে নায়ক হয়ে ম্যাচ জেতানো মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ সব শটের সঙ্গে তিনি খেলছিলেন দায়িত্ব নিয়েও। তার সঙ্গে এই ইনিংসের সবচেয়ে বড় হাইলাইট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রানের ফেরা।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ কয়েকবার। এখনও দলে থাকার মতো সক্ষমতা আছে কি না, কথা উঠেছিল এ নিয়েও। সবকিছুর প্রমাণ যেন মাঠেই দিতে চাইলেন রিয়াদ। মিরাজের সঙ্গে তার ১৪৭ রানের জুটি ভাঙে ৪৭তম ওভারে এসে।
উমরান মালিকের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৭ চারে ৯৬ বলে ৭৭ রান করেন রিয়াদ। তিনি সাজঘরে ফেরার পরও দলকে টেনে নেন মিরাজ। নিজের এই ইনিংস খেলার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২ হাজার রান ও দুইশ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেন এই অলরাউন্ডার।
মন্তব্য করুনঃ