স্পোর্টস ডেস্ক:
ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৭ বার মুখোমুখি হয়ে একবারও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি আফগানিস্তান। এমন পরিসংখ্যান নিয়ে মাঠে নেমে সোমবার (২৩ অক্টোবর) ইতিহাস গড়েছে আফগানরা। পাকিস্তানকে বিশ্বকাপের মঞ্চেই প্রথমবার হারিয়ে দিলো হাশমতউল্লাহ শহীদির দল।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। বাবরদের দেয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।
এই জয়ে সেমিফাইনালের আশা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখলো আফগানরা। পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে এখন আফগানরা। পাকিস্তান সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচে। তবে টানা ম্যাচ হেরে সেমির লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে বাবর আজমের দল।
চেন্নাইয়ের স্পিন উইকেটে আফগানিস্তানকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। ইনিংস বিরতির সময় নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকার অনুভূতি নিয়ে ড্রেসিংরুমে গিয়েছিল বাবর আজমের দল। কিন্তু বোলিংয়ে নেমেই বিপদের মুখে পড়ে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চমক দিয়েছেন দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। পাকিস্তানের বিশ্বমানের পেস অ্যাটাককে কোনোরকম পাত্তাই দেননি তারা। শাহিন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফের মতো পেসারকে রীতিমতো তুলোধুনা করেছেন তারা। গড়েছেন শতরানের জুটি।
গুরবাজ-ইব্রাহিমের শতরানের জুটিতে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দুজনেই। ৬৫ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে ফেরেন গুরবাজ। তবে চাপ আসতে দেননি ইব্রাহিম এবং রহমত শাহ। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৬০ রানের জুটি।
৮৭ রানের মাথায় হাসান আলী ইব্রাহিমকে ফেরালে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে পাকিস্তান। তবে সুযোগটা দেয়নি আফগানরা। ৯৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রহমত শাহ এবং হাশমতউল্লাহ শহীদি।
৮৪ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন রহমত। ফিফটি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থেকে ম্যাচ শেষ করেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল পাকিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৬ রান করেন দুই ওপেনার ইমাম উল হক এবং আব্দুল্লাহ শফিক। পাওয়ারপ্লের পর আজমতকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন আজমউল্লাহ। ইমামকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে শফিকের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন বাবর। শফিককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নূর। রিজওয়ানকেও দ্রুত ফেরান তিনিই। ভালো শুরু পেয়েও নবির শিকার হয়ে ২৫ রানে ফেরেন সাউদ শাকিল।
শাদাবকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন বাবর। ৯২ বলে ৭৪ রান করে শেষমেশ নূরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষদিকে ইফিতিখার আহমেদ খেলেন ঝড়ো ইনিংস। ২৭ বলে তার ৪০ রানের ইনিংসে ২৮০ রান পার করে পাকিস্তান। ৩৮ বলে ৪০ রান করে শেষ বলে আউট হয়েছেন শাদাব। ২৮২ রানে থেমেছিল পাকিস্তানের ইনিংস।
মন্তব্য করুনঃ