স্পোর্টস ডেস্ক:
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ বি’র ম্যাচে সুপার ওভারে ওমানকে হারিয়েছে নামিবিয়া। সোমবার (৩ জুন) বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে ওমানের দেয়া ১১০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১ রান আগেই শেষ হয় নামিবিয়ার ইনিংস। খেলা সুপার ওভারে গড়ালে নামিবিয়ার দেয়া ২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১০ রান তুলতে সক্ষম হয় ওমান।
নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নামিবিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিলাল খানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন। এরপর ফ্রাইলিংককে সাথে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন নিকোলাস ডেভিন। ব্যক্তিগত ২৪ রানে আকিব ইলিয়াসের বলে নাদিমের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন ডেভিন। অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস ১৩ রান করে বিদায় নেন। নতুন ব্যাটার স্মিটের ব্যাটও হাসেনি। মাত্র ৮ রানেই মেহরান খানের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান জ্যান ফ্রাইলিংক তবে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে মেহরান খানের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তোলে নামিবিয়া। শেষ বলে ওমানের উইকেটকিপার নাসিমের মিসে নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে যান ক্রুগার। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
ওমানের হয়ে ৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন মেহরান খান। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান বিলাল খান, আকিব ইলিয়াস ও আয়ান খান।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ট্রাম্পেলম্যান ও ডেভিড উইজের দুর্দান্ত বোলিং তোপে ১০৯ রান তুলতে সক্ষম হয় ওমান। ইনিংসের প্রথম দুই বলেই ওমান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পেসার রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। প্রথম বলেই ট্রাম্পেলম্যানের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ওমানের ওপেনার কাশ্যপ প্রজাপতি। পরের বলে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস। একই পরিণতি তারও। শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আকিব।
গেরহার্ড ইরাসমাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন নাসিম খুশি। দলীয় ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে আকিব ইলিয়াসের দল। এরপর খালিদ কাইলকে সাথে নিয়ে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন জিশান মাকসুদ। দুজন মিলে গড়েন ২৭ রানের জুটি। ২২ রান আসে জিশান মাকসুদের ব্যাট থেকে। ইরাসমাসের বলে ফ্রাইলিংকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে আয়ান খান খেলেন ১৫ রানের ইনিংস। ৩৪ রান করে ডেভিড উইজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন খালিদ। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে শেষ হয় ওমানের ইনিংস।
মন্তব্য করুনঃ