• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:৩৪:১২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

চালক-সহকারী সেজে ধানভর্তি ট্রাক নিয়ে উধাও, গ্রেপ্তার ৩


শনিবার ১৮ই মে ২০২৪ দুপুর ০১:২৩



চালক-সহকারী সেজে ধানভর্তি ট্রাক নিয়ে উধাও, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক: 

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধানবোঝাই ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ট্রাক ও ধান উদ্ধার করা হয়েছে। 

পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তাররা চালক-সহকারী সেজে কৌশলে ধান লুট করতো। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ নন্দীগ্রাম থানায় এসব বিষয় জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো ফুলতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হলেন ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার বাসিন্দা সামিউল হক (৪২), মামুন হোসেন (২৬) ও মাসুদ (২৯)। 

ছিনতাই হওয়া ধানের মালিক নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৈ-গ্রামের ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী। গত ২৯ এপ্রিল নন্দীগ্রামের রনবাঘা হাট থেকে ২৬৫টি পাটের বস্তায় ভর্তি ৫০১ মণ ধান ক্রয় করেন তিনি। ধানগুলো দিনাজপুরের সোনালী অটোরাইস মিলে বিক্রি করার কথা ছিল ওয়াজেদ আলীর। এই মিলে সরবরাহের সময় ধানগুলো ছিনতাই হয়। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ জানান, গত ২৯ এপ্রিল ওয়াজেদ আলী ৫০১ মণ ধান দিনাজপুরে পাঠানোর জন্য একটি ট্রাক ভাড়ার খোঁজ করছিলেন। আগে থেকেই ফাঁদ পেতে থাকা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা সুযোগটি কাজে লাগায়। তারা আল মুজাহিদ ফিরোজ নামে চালকের পরিচয়ে ভুয়া নম্বরপ্লেট লাগিয়ে একটি ট্রাক নিয়ে ওয়াজেদের কাছে উপস্থিত হয়। ভাড়া ঠিক হলে রনবাঘা বাজার সংলগ্ন মহাসড়কের বাঁশের ব্রিজ এলাকা থেকে বস্তাভর্তি ধান সেই ট্রাকে তুলে উধাও হয়ে যায়। ছিনতাইয়ের ব্যাপারটি বোঝার পর ওই ব্যবসায়ী থানায় মামলা করেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রটির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুর থেকে ট্রাক এবং পাবনার চাটমোহর থেকে ২৬৫ বস্তা ধান উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানা পুলিশের প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়। 

এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওমর আলী, নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম, পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) জিয়াউর রহমান জিয়া উপস্থিত ছিলেন। 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ





















-->