অনেকটা অসময়েই ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টি—সব মিলিয়ে হঠাৎই যেন সিলেট নগরসহ প্রায় ১৩টি উপজেলার মানুষেরা বিপাকে পড়ে গেলেন। আকস্মিক বন্যায় বানভাসি মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন। প্লাবিত এলাকায় দেখা দেয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। প্লাবিত এলাকার মানুষের এই দুর্ভোগের দিনে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছে প্রথম আলো। গত ১০ থেকে ১৪ জুন ২০২২ পর্যন্ত প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহায়তায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার ত্রাণসামগ্রী সিলেটের পাঁচ উপজেলার ৪৬৮টি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আবারও ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট যেন বেড়েই চলে।
বানভাসি মানুষের পাশে আরও একবার দাঁড়াতে এগিয়ে আসে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। দ্বিতীয় দফায় আরও ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান দেয় সিলেটের বন্যাকবলিত মানুষের কাছে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয় পর্বে ৬৮০টি পরিবারের কাছে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট ১ হাজার ১৪৮টি পরিবারের কাছে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়। কেবল আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড নয়। সিলেটের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজের সব স্তরের মানুষ। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকাসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম আলো ট্রাস্ট ৬ জুলাই পর্যন্ত ৩১ লাখ ৬ হাজার ১১৭ টাকা অনুদান গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে সিলেটের ৭টি, সুনামগঞ্জের ৪টি, নেত্রকোনার ৪টি উপজেলা ও কুড়িগ্রামের ৫টি ইউনিয়নের পাঁচটি চরে বন্যার্ত মানুষদের মধ্যে ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতায় ২ হাজার ১৯৫টি পরিবারের কাছে ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দেয় প্রথম আলো ট্রাস্ট। ত্রাণ সহায়তার প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে ছিল পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি আটা, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, এক কেজি আলু, আধা কেজি পেঁয়াজ এবং ১০০ গ্রাম করে মরিচ ও হলুদের গুঁড়ার প্যাকেট।
মন্তব্য করুনঃ