• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ দুপুর ০১:১৩:১৮ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:

১৮ বছরে পা রাখল দুদক


সোমবার ২১শে নভেম্বর ২০২২ দুপুর ১২:৫৬



১৮ বছরে পা রাখল দুদক

ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যাত্রা শুরু ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর। লক্ষ্য একটাই—অব্যাহতভাবে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশ। এরপর কেটে গেছে ১৭ বছর। ১৮তম বছরে পা রাখল রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি। দিনটি উপলক্ষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।

বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের নেতৃত্বে প্রথম কমিশনের যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। এরপর যথাক্রমে সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান, মো. বদিউজ্জামান ও ইকবাল মাহমুদের পর ২০২০ সালের ১০ মার্চ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। যেখানে কমিশনার অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক।

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দায়িত্ব নেয়ার পর পেরিয়ে গেছে দেড় বছরের বেশি সময়। জন্মদিন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ডেকেছেন তিনি।

দুদকের বিগত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অভিযোগের হার বেড়েছে অনেক। তবে এখনও জনগণের প্রত্যাশা সেভাবে পূরণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। উল্টো বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অথচ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন; বিদ্যমান কার্যপদ্ধতি পর্যালোচনা করে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং শিক্ষা, উত্তম চর্চার বিকাশ ও সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ করার লক্ষ্য পূরণ করার কথা ছিল দুদকের।

যদিও সীমিত জনবল নিয়ে দুর্নীতির সাত হাজারের বেশি অনুসন্ধান ও তিন হাজারের বেশি মামলার চাপে রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। সাফল্য রয়েছে দুর্নীতির মামলার সাজার হারে। বর্তমানে দুর্নীতি মামলার সাজার হার ৬০ শতাংশের বেশি।

অন্য এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুদকে ৩ হাজার ৮৭৪টি দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন এবং ১ হাজার ৫২১টি মামলা তদন্তাধীন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ২ হাজার ৭৮৯টি চিঠি দিয়েছে দুদক।

এ ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক শক্তি জাগ্রত করার প্রয়াসে নানাবিধ অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে দুদক। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে ২৭ হাজার ৬২৯টি সততা সংঘ গঠন এবং ৫ হাজার ৭৫৬টি সততা স্টোর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুদকের সাংগঠনিক কাঠামোতে গোয়েন্দা, পর্যবেক্ষণ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এনফোর্সমেন্ট ইউনিট গঠন করে কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করেছে।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ





















-->