নরসিংদীর রায়পুরা থানা হেফাজতে সুজন মিয়া (৩৫) নামে স্ত্রী হত্যা মামলার এক আসামি আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে থানার হাজতখানার টয়লেটের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ।
জানা গেছে, স্ত্রী লাভলী বেগমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দুইদিনের রিমান্ডে ছিলেন সুজন মিয়া।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে গত রোববার (৬ নভেম্বর) স্ত্রী লাভলী বেগমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সুজন মিয়া। হত্যার পর সুজন ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
সোমবার (৯ নভেম্বর) রাতে সুজন মিয়াকে ফরিদপুরের সদরপুর এলাকার একটি দরবার শরীফ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তাকে থানার হাজতখানায় রাখা হয়। সেখানেই ভেন্টিলেটরের রডের সাথে পরনের শার্ট দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে সুজন।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা পুলিশ। এই কমিটি তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খান নুরুউদ্দীন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, পুলিশ একজন আসামিকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে। তার গলায় ফাঁস নেয়ার দাগ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুনঃ