চ্যানেল এস ডেস্ক:
ঢাকা মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। শনিবার পুরো এলাকায় নেমেছিল নেতাকর্মীদের ঢল। কিন্তু সেদিনকার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সব কিছু বদলে গেছে। তালাবদ্ধ রয়েছে কার্যালয়। মাঝে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোনো নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছাড়াই পালিত হয়েছে হরতাল। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিএনপির অফিসসহ নয়াপল্টন এলাকা।
রোববার (২৯ অক্টোবর) হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-বিজিবির টহল ছিল নয়াপল্টন এলাকায়। পুলিশও ছিল অনেক। তবে সোমবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। অর্থাৎ পুলিশের উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে পড়তে হচ্ছে পুলিশের প্রশ্নের মুখে।
অন্যদিকে শনিবার মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কার্যালয়ের স্টাফরাও চলে গেছেন। ফলে তালাবদ্ধ রয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর। পরে কার্যালয়ের সামনের অংশ ক্রাইম সিন হিসেবে চিহ্নিত করে তা ফিতা দিয়ে আটকে দেয় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।
রোববার হরতালের সকালে সেখান থেকে দশ ধরণের আলামত সংগ্রহ করে নিয়েছে সিইআইডি। আলামত ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ডিআইডির কর্মকর্তারা।
নয়াপল্টনে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মেইলকে বলেন, যেহেতু বড় ধরণের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সে কারণে এখানে যাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কখন নাগাদ কার্যালয় খোলা হবে, ক্রাইম সিন ইউনিটের ব্যারিকেড তোলা হবে তা সিনিয়র স্যাররা বলতে পারবেন।
এদিকে সোমবার নয়াপল্টনের হোটেল ভিক্টোরিয়ার সামনের সড়কের আইল্যান্ডের বিদ্যুতের খুঁটিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ডিএমপি। শনিবারের সংঘর্ষের সময় অনেক সিসি ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুনঃ