নওগাঁর হাটগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি ধানের দর বেড়েছে ২০০ টাকা। এবার মৌসুমের শুরুতেই ধানের তেজি দরে খুশি কৃষকরা।
এদিকে সরকারের বেঁধে দেয়া দরের চেয়ে হাটে বেশি দামে ধান বিক্রি হয়েছে। এতে কৃষকরা আনন্দিত হলেও এবারও ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে খাদ্য বিভাগ |
জানা গেছে, প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রান্তিক চাষিরা বিক্রির জন্য হাটে তোলেন উৎপাদিত ধান। এতে গেল সপ্তাহ থেকে নওগাঁর মহাদেবপুরহাটে জোগান বেড়েছে সব ধরনের ধানের। মিল পর্যায়ে ধানের মজুত বৃদ্ধিতে হাটে বেড়েছে ব্যাপারীদের আনাগোনাও। এ কারণে সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের ধানে মণপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দরে কিনছেন ব্যাপারীরা। মৌসুমের শুরুতেই ধানের ভালো দামে খুশি কৃষকরা।
অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকার ২৮ টাকা কেজিতে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু হাটে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে ধান বিক্রি হওয়ায় সরকারের ঘরে ধান দেয়ায় আগ্রহ নেই তাদের।
সরকারের চেয়ে হাটে ধানের দাম বেশি। এতে সরকারের কাছে চাল বিক্রিতে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান নওগাঁ স্পেশাল অ্যাগ্রোর পরিচালক নৃপেণ মজুমদার।
জেলার খাদ্য কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ২৮ টাকা কেজিতে কৃষকের কাছ থেকে সাড়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনবে খাদ্য বিভাগ।
গেল মৌসুমে ছাব্বিশ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ধান সংগ্রহ হয়েছিল এ জেলায় ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। বাড়তি দরের কারণে এবার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ শঙ্কায় আছে খাদ্য বিভাগ |
হাটে স্বর্ণা-৫ ১ হাজার ৩২০ টাকা, নাজিরশাইল ১ হাজার ৭০০, কাটারিভোগ ১ হাজার ৬৫০, গোল্ডেন আতপ ১ হাজার ৯০০, সুগন্ধি-৯০ ২ হাজার টাকা মণ দরে বেচাকেনা হচ্ছে।
মন্তব্য করুনঃ