• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২১শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১০:৩৭:২০ (04-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ


মঙ্গলবার ১২ই মার্চ ২০২৪ বিকাল ০৫:৩২



নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ

ছবি: সংগ্রহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: 

পাস হওয়ার চার বছর পর লোকসভা নির্বাচনের আগে দিয়ে ভারতে চালু হয়ে গেল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)।  এই ঘোষণার পর থেকে ভারতের কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিল পাশ হওয়ার চার বছর পর চালু হলো সিএএ। সংশোধিত এ নতুন আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবে মোদি সরকার। 

এই ঘোষণা আসার পর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে সোমবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ দেখা দেয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত বা অন্য কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

এ আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব মানুষ ধর্মীয় নিপীড়নের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে চলে গেছেন, সেইসব শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। 

তবে এ আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা উল্লেখ না থাকায় আইনটি বৈষম্যমূলক বলে সমালোচিত হয়েছে। তাছাড়া, তামিল উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া নিয়েও আইনটি দক্ষিণ ভারতে বিতর্কিত হয়েছে। 

২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাসের পর থেকেই ভারতজুড়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। এমনকি দাঙ্গাও বাধে রাজধানী দিল্লিতে। ২০২০ সালেও সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলতে থাকে। 

ফলে ভারত সরকার তখন আইনটি চালু করেনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র একটি টেক্সট মেসেজে বলেছেন, “মোদী সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তাবায়নের ঘোষণা দিচেছ। 

“এ আইন ২০১৯ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর আওতায় নিপীড়িতদের ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভের পথ সুগম হবে।” 

আইনটি কার্যকর করার কথা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও। আইনটি নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা থাকায় এবং কোভিড মহামারীর কারণে এটি চালু হতে দেরি হয়েছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। 

গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। ভারতে প্রথমবার ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শুরু হয় বিক্ষোভ। মারা যায় বেশ কয়েকজন মানুষ। দেশটির বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে পাশ হয়। 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ