• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২১শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০২:১৬:৩৪ (05-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

তিন শতাধিক বাড়ির সঙ্গে পুড়ল অর্ধশতাধিক কবুতর


সোমবার ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯



তিন শতাধিক বাড়ির সঙ্গে পুড়ল অর্ধশতাধিক কবুতর

ছবি: সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক: 

রাজধানীর পল্লবীর ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে আড়াইশ থেকে তিন শতাধিক বাড়ি পুড়ে গেছে। একই সঙ্গে আগুনে পুড়েছে অর্ধশতাধিক কবুতর। 

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বস্তির বাসিন্দা ও পরিচালক মো. বিসু মিয়া। 

তিনি বলেন, এখানে অধিকাংশ মানুষজন কবুতর লালন-পালন করত। এসব কবুতর বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হতো। অনেক দামি-দামি কবুতর ছিল। আগুন লাগার পর কিছু-কিছু কবুতরের খাঁচা বের করা সম্ভব হয়েছে। কিছু কবুতর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর ভেতরে থাকা কবুতরের খাঁচাগুলো বের করা যায়নি। সেগুলো সেখানেই পুড়ে মারা গিয়েছে এবং একেবারে ছাই হয়ে গেছে। 

সরেজমিনে ঝিলপাড় বস্তি ঘুরে দেখা যায়, আগুনে কাঠের ঘরবাড়ি এবং পাটাতনের অধিকাংশ পুড়ে ধসে পড়েছে। এছাড়া নিচে এলোমেলোভাবে পড়ে আছে আগুনে পোড়া আসবাবপত্র। তার পাশেই কবুতরের খাঁচাও দেখা গেছে।এসবের মধ্যে ব্যবহার্য জিনিসপত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বাসিন্দারা। 

সিফাত হোসেন নামের একজন বলেন, দুপুরে কাজের জন্য বাইরে ছিলাম। আমারও পাঁচ জোড়া কবুতর ছিল। এগুলোর মধ্যে এক জোড়া সরাতে পেরেছি। বাকি চারটি খাঁচা সরাতে পারিনি। আমি বাণিজ্যিকভাবে এই কবুতর বেচা-কেনা করতাম। শুধু আমি নই, এখানে অনেকেই কবুতর পালত। অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। জিনিসপত্র এবং টাকা-পয়সার সঙ্গে এই কবুতরগুলোও আগুনে পুড়ে মারা গেল। 

তবে এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। 

তিনি বলেন, দুপুর ১২টা ৫৭মিনিটে আমরা প্রথম আগুনের খবর পাই। এরপর মিরপুর, পল্লবী এবং কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। আগুন নেভাতে আমরা অনবরত চেষ্টা চালাতে থাকি। এখানে পানি পর্যাপ্ত থাকায় কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের চেষ্টায় আগুন বিস্তার লাভ করতে পারেনি। দুপুর দুইটায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি এবং সম্পূর্ণভাবে অগ্নিনির্বাপণ হয় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে। আগুন কি কারণে লেগেছে, এখন পর্যন্ত আমরা সেটি বের করতে পারেনি। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে আগুন নির্বাপণ করা। সেটি করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। 

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে আগুন নির্বাপণ করা। আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আগুন কি কারণে লেগেছে এবং এখানকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার চেষ্টা করব। 

একই সঙ্গে এই ঘটনায় আহত কিংবা নিহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি। 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ