বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তেল ও চিনির দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিলে, তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে টিসিবি খাদ্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন বাণিজ্য সচিব।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব পণ্য দেয়া হচ্ছে তা দেশীয়ভাবে ও আমদানি করে পূরণ করা হচ্ছে। চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে কোনো সংকট নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ফ্যামিলি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন। বাজার মূল্যের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে এসব খাদ্যপণ্য পাওয়ায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে অনেক সময় অপেক্ষার পর যতটুকু পাওয়া যায়, তা চাহিদার তুলনায় স্বল্প বলছেন ভোক্তারা। তাই খাদ্যপণ্যের পরিমাণ আরও বাড়ানো দাবিও জানান তারা।
চলতি মাসে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় একজন ক্রেতা এক দফায় ৫৫ টাকা দরে এক কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন।
তবে আগামী রমজানে খাদ্যপণ্যের পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুনঃ