নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস মারা গেছেন। বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে আব্দুল কুদ্দুসকে শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউতে) নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে থাইল্যান্ডে নেয়ার কথা থাকলেও অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাষকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি নিয়মিত থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে টানা সাতবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে দ্বিতীয় বারের মতো নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আব্দুল কুদ্দুসের পৈতৃক বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত বিলসা গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন এবং বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে রাজশাহীতে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন। পরবর্তীতে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।
মন্তব্য করুনঃ