রাজশাহী বিভাগের রাজনীতির মাঠে বিএনপি নিজেদের একক শক্তির জানান দিতে চায় ৩ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে। সে কারণে এই বিভাগীয় মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর ন্যূনতম কোনো সহযোগিতাও নেবে না দলটি। নিজেদের সমর্থন এই এলাকায় বেশি- এমনটি বিবেচনা করেই ঢাকার মহাসমাবেশের আগের শেষ মহাসমাবেশটি রাজশাহীতে করার কৌশল নিয়েছে তারা। যদিও তাদের এই কৌশল খুব একটা কাজে লাগবে না বলে মনে করে আওয়ামী লীগ।
প্রতিদিনই থাকছে ছোট-বড় নানা কর্মসূচি। কদিন পরপরই কেন্দ্রীয় নেতারা যাচ্ছেন রাজশাহীতে। লক্ষ্য, ৩ ডিসেম্বরের বিভাগীয় মহাসমাবেশে নজরকাড়া জনসমাগম। বিএনপি নেতাদের আশঙ্কা, দেশজুড়ে ৯ বিভাগে ঘোষিত মহাসমাবেশের শেষ দিকে বাড়তে পারে প্রতিবন্ধকতা। তাই আঞ্চলিকভাবে শক্তি ও সামর্থ্য বেশি- এমন বিবেচনায় ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশের ঠিক আগের মহাসমাবেশটিই রাজশাহীতে করার কৌশল নিয়েছেন তারা।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, যেহেতু এই প্রোগ্রামটা শেষের দিকে এখন আস্তে আস্তে সরকারের প্রতিবন্ধকতা ও প্রেশার বাড়তেই থাকবে। পার্টি এসব দিক বিবেচনা করেই রাজশাহী অঞ্চলকে বেছে নিয়েছে।
দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী হলেও এ মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর ন্যূনতম কোনো সহযোগিতাও না নেয়ার কথা জানান বিএনপির এ নেতা। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আরও বলেন, আমরা যারা বিএনপি করি আমরা আমাদের বাড়িতে থাকতে পারি না। বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা খেয়ে দেশছাড়া-এলাকাছাড়া। আমি বলতে চাই যে, আগামী দিনে রাজশাহীতে সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদেরকে দাওয়াত দেয়া বা তাদের সাথে আলোচনা করার প্রশ্নই আসে না।
দলটির প্রত্যাশা, এবার স্মরণাতীতকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ হবে রাজশাহীতে। এ ব্যাপারে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, রাজশাহীতে যতোগুলো মিটিং হয়েছে; আমি আশা করি ঢাকার মিটিংটাকেও যেনো আমরা অতিক্রম করতে পারি।
তবে, রাজশাহীর মহাসমাবেশকে ঘিরে বিএনপির প্রত্যাশা ও কৌশল নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, তারা আত্মতৃপ্তি পেতে পারেন যে হয়তো ৫০ হাজার লোক হয়েছে বা এক লাখ লোক হয়েছে। আসলে ৮টা জেলা থেকে এক লাখ লোক এনে তো আওয়ামী লীগের মতো বটবৃক্ষের একটা পাতা ছেঁড়াও সম্ভব না।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মনে করেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে প্রতিহত করার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। তিনি বলেন, আমরা কোথাও মারামারি করতে চাই না। এটা আওয়ামী লীগের কাজ নয়। আমরা জনগণকে নিয়েই সমস্ত অরাজকতা বা নৈরাজ্যকর কাজ প্রতিহত করবো।
মন্তব্য করুনঃ