সিরাজগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের এক কর্মচারীর অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন সেখানকার দলিল লেখকরা। ঘুষ গ্রহণ ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে কয়েকদিন ধরে কলম বিরতি, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
যার বিরুদ্ধে দলিল লেখকরা কলম বিরতি পালন করছেন, তিনি হলেন অফিস সহকারী কে এম মহির উদ্দিন।
দলিল লেখকরা জানান, এর আগে ২০১৮ সালে মহির উদ্দিনের পোস্টিং ছিল সিরাজগঞ্জের সদরে। ওই সময় তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রারকে ম্যানেজ করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হন মহির। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয় এবং শাহজাদপুর উপজেলায় বদলি করা হয়। সেখানেও সাব রেজিস্ট্রারের যোগসাজশে চালিয়ে যান অপকর্ম। এ নিয়ে ২ বছর আগে সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরিচ্যুত হন সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত সাহা। তবে, ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যান মহির। পরে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলা এখনও চলছে।
সিরাজগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, সরকারি টাকার বাইরে অতিরিক্ত টাকা দাবি করার কারণে অফিস সহকারী মহির উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে মহাপরিদর্শকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছি।
সিরাজগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন বলেন, তিনি অফিসে বসার পর থেকেই আবারও ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছেন। রেজিষ্ট্রার দলিল ছেড়ে দিলেও অফিস সহকারী মহির সরকারি টাকার বাইরে টাকা না দিলে দলিল আটকে রাখে। তার এই কর্মকাণ্ডের কারণে সময়মতো আমরা দলিল গ্রাহকদের দলিলের নকল দিতে পারছি না। তাই মহির উদ্দিনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে সদর সাব-রেজিষ্ট্রার কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, আমি এই অফিসে নতুন এসেছি। মহির উদ্দিনের সম্পর্কে আমি তেমন কিছু বলতে পারবো না। তবে দলিল লেখকদের অভিযোগের কারণে বর্তমানে তাকে দিয়ে সরকারি ফি কাটানো বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
কে এম মহির উদ্দিনের দাবি, আমার বিরুদ্ধে অনেক লোক লেগেছে। তারাই এ সকল মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোনো ঘুষ বা বাড়তি টাকা দাবি করিনি।
মন্তব্য করুনঃ