ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন, ভটভটিসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে কেবল ফরিদপুরগামী বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে মাদারীপুর বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য জেলায় বাস চলাচল করলেও ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি কোনো পরিবহন।
বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, উচ্চ আদালতে নিষেধ থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এই দাবিতেই শুধু ফরিদপুর জেলায় দুদিনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এতে দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়েছেন ফরিদপুরগামী যাত্রীরা।
এদিকে মাদারীপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে মাদারীপুর থেকে নেতাকর্মীদের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সরকারদলীয় লোকজন জড়িত বলেও দাবি করছেন বিএনপির নেতারা।
ফরিদপুরগামী দিলরুবা খানম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে নিয়ে ফরিদপুর ডাক্তার দেখাতে যাবো। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারি পরিবহন ধর্মঘট চলায় ফরিদপুরের গাড়ি চলবে না।’
মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরে চলাচলকারী শাহ ফরিদ পরিবহনের মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দু’দিন শুধু ফরিদপুরে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছুই বলা যাচ্ছে না।
মাদারীপুর বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান হাওলাদার জানান, মাদারীপুর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে পরিবহন চলাচল করছে। কিন্তু মাদারীপুর থেকে ফরিদপুর সরাসরি কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচলের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহান বলেন, শনিবার মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর এই পাঁচ জেলা নিয়ে বিএনপির গণমহাসমাবেশ ফরিদপুরে হবে। এই বিভাগীয় সমাবেশে সাধারণ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কমাতে ধর্মঘট ডেকেছে মালিক সমিতি। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মন্তব্য করুনঃ