মিয়ানমারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংসদীয় দলের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘নিজেদের সমস্যার কারণে সীমান্তে গুলি ছোড়া হলে আমরা বরদাশত করব না। আমরা শান্তি চাই।’

আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংসদীয় দলের এই হুইপ বলেন, ‘রামুসহ পার্বত্য অঞ্চলকে সুসংগঠিত করা হয়েছে। আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারকে বলেছি, আমরা তাঁদের সঙ্গে কোনো বিরোধে যেতে চাই না। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু তাঁরা নিজের আঞ্চলিক সমস্যার কারণে কিছু কিছু সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করুন।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘যাঁরা ইকবাল আজাদ (সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, এই মামলার অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের কাউকেই আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ে স্থান দেওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। তবে যাঁরা ইকবাল আজাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন কিন্তু রাজনৈতিক বিভক্তির কারণে হয়তো ভিকটিম হয়েছেন, তাঁদেরও রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

গ্রুপিংমুক্ত রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘সরাইলে আমি বা মোকতাদির চৌধুরী ভোটের রাজনীতি করতে আসব না। প্রধানমন্ত্রী যাঁকে নৌকার মনোনয়ন দেবেন, তাঁকে জয়ী করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগর যুগ্ম আহ্বায়ক মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা ওরফে নাজমা বেগম প্রমুখ।

পরে উপজেলা আ.লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।