ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এক লাইনে দুই ট্রেন প্রবেশের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে কমিটি।
এর আগে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ট্রেন চলাচল নিয়ে হুলস্থুলকাণ্ড ঘটে যায়। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় তিনটি ট্রেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক, সদস্য সহকারী প্রকৌশলী (এ.এস.ই) কাজীব ইমাম, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ইজহারুল ইসলাম (এ.এম.ই) সকালে আখাউড়ায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া সংকেত চালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক জানান, তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। তবে কী কারণে এমনটি হয়েছে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
শুক্রবারের এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা একে অপরকে দোষারোপ করেন। এতে ট্রেন চলাচল শুরু করতে বিলম্ব হয়। শেষ পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। দুটি ট্রেনের ক্রসিংয়ের কারণে ট্রেনটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় আখাউড়া জংশন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। বিকেল ৩টার দিকে ওই ট্রেনটি দাঁড়ানো অবস্থায়ই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কনটেইনার ট্রেন একই লাইনে প্রবেশ করতে থাকে। স্টেশন সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বুঝতে পেরে জরুরিভাবে ট্রেনটিকে ম্যানুয়াল সিগন্যাল দেয়। পরে চালক দ্রুত ট্রেনটি থামিয়ে দেন।
মন্তব্য করুনঃ