চ্যানেল এস ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু টানেলে মধ্যরাতে কার রেসিংয়ের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) রাতে নগরীর কর্ণফুলী থানায় সাতটি কার চিহ্নিত করে মামলাটি দায়ের করেন বঙ্গবন্ধু টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সড়ক পরিবহন আইনে মামলার এজাহারে কারের নম্বর উল্লেখ করে সাতটি কারের অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের পুলিশ উপকমিশনার (ডিসি) শাকিলা।
সাত প্রাইভেটকারের মধ্যে আছে- চট্ট মেট্রো-গ-১২-৯০৪৩, চট্ট মেট্রো-ঘ-১১-৫৭০২, ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-১৮১৪, চট্ট মেট্রো-গ-১৩-৩৫৭৩, চট্ট মেট্রো-গ-১৪-২২৫৪ ও ঢাকা মেট্রো-ভ-১১-০২১৭। মামলায় আরও দুই থেকে তিনটি প্রাইভেট কারের চালকসহ তাদের সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাতে টানেলে ঝুঁকি নিয়ে কার রেসিং করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভিডিও ভাইরাল হয়। সমালোচনার ঝড় ওঠে সারা দেশে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, টানেল কর্তৃপক্ষ ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান পরামর্শক্রমে মোটরযানের গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেন। এ বিষয়ে টানেলের প্রবেশমুখ, ভেতরসহ বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়।
গত ২৯ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে ক্রসিং এলাকায় ১০ থেকে ১১টি রেসিং কার নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন স্থানে টানেল কর্তৃপক্ষের সাঁটানো সাইনবোর্ডের সর্বোচ্চ গতিসীমা লঙ্ঘন করা হয়। গাড়িগুলো রেসিং, ওভারটেকিং ও বিপজ্জনকভাবে চালানোসহ যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
পরে গাড়িগুলোর অজ্ঞাতনামা চালক টোল পরিশোধ করে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে টানেলের ভেতর প্রবেশ করে। টানেলের সিসিটিভি মনিটরিং কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে সাতটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করা হয়। আরও দুই-তিনটি প্রাইভেটকারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও ঘটনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এর আগে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন মধ্যরাতে রেসিং কার নিয়ে রেসিংয়ে মেতে ওঠেন একদল তরুণ।
মন্তব্য করুনঃ