স্টাফ রিপোর্টার: কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতের অভাবে জলাশয়গুলো পানি শূন্য থাকায় কৃষকেরা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। অনেক কৃষক পাট কেটে জমিতেই ফেলে রেখেছেন। এখন পাট কাটার ভরা মৌসুম হলেও কৃষকরা পানির অভাবে তা কাটতে পারছেন না। এ অবস্থায় কৃষকেরা পড়েছেন মহাবিপাকে। বৃষ্টির অভাবে কৃষকের জমির পাট জমিতে শুকিয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরায় এ বছর ৩৫০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে আরও বেশি জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হলেও পানির অভাবে পাটজাগ দিতে না পেরে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চলতি বছর আমার দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ রয়েছে। পাটের ফলন ৫-৮ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বাজারে দামও ভালো হলেও পাট চাষ লোকসান হবে। আমি পানির অভাবে পাটজাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি। এবার এখনো তেমন ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এলাকায় খাল-বিল-ডোবায় পানি জমেনি। পুকুরে কিংবা গর্তে স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে অনেক খরচ। তবে শেষ পর্যন্ত যদি পাট জাগ দেয়ার মতো বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে ডোবায় স্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে পাট পচাতে হবে। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এ বছর বৃষ্টির পানির অভাবে পাটজাগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। এ সময় ধান ও পাটের জন্য বৃষ্টির পানির খুবই প্রয়োজন। এ বছর শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যায়েও পাট জাগ দেয়ার মতো বৃষ্টিপাত হয়নি। লাবসা গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান এ বছর বৃষ্টি তেমন একটা না হওয়ায় মাঠ-ঘাট প্রায় পানি শূন্য। চলতি বছর প্রতি বিঘা জমিতে চাষ থেকে শুরু করে পাট উৎপাদন পযন্ত ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে পাটের যে দাম চলছে, তা অব্যাহত থাকলে প্রতি বিঘা জমির পাট বিক্রি করে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হবে। সাতক্ষীরা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর সাতক্ষীরায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এখন পাট কাটার উপযুক্ত সময়। ইতোমধ্যেই অনেক চাষি পাট কাটা শুরু করেছেন। বৃষ্টির অভাবে মাঠে-ঘাটে পানি নেই। কৃষকেরা অপেক্ষায় আছেন, বৃষ্টি হলে তারা পুরোদমে পাট কাটা শুরু করবেন এবং পাট কেটে উক্ত জমিতে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় ব্যয় করবেন। সে বিষয়ে পানি না হওয়ায় কৃষক পড়েছে ক্ষতির মুখে এবং অলস সময় পার করছে কৃষকেরা।
মন্তব্য করুনঃ