চ্যানেল এস ডেস্ক:
মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে কৌতুহলের শেষ থাকে না। আলট্রাসনোগ্রাম করে অনেকেই আগেভাগে জানতে চান অনাগত সন্তানের লিঙ্গ পরিচয়। এ থেকে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটে। এমন কি ভ্রুণ হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে যায়। এবার হাইকোর্ট জানিয়ে দিলো, মাতৃগর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। এই নির্দেশ দেশের সব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে কঠোরভাবে পালন করতে হবে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২৫ ফেব্রুয়ারী এ রায় দেন।
২০২০ সালে জনস্বার্থে এক রিট মামলায়, মাতৃগর্ভে থাকা অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা তৈরি করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। রুল জারির পর নীতিমালা তৈরি করতে কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং এই কমিটি একটি নীতিমালা তৈরী করে। যার সারমর্ম হলো, কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না। গত ২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে।
পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে নীতিমালাটি দাখিলের পর এর ওপর শুনানি অনুষ্টিত হয়। রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান শুনানিতে বলেছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে। তিনি অনাগত সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় নিষিদ্ধ করার আবেদন জানান। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্তও এর পক্ষেই মতামত দেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মাতৃগর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না বলে রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুনঃ