সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ, ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর গণসমাবেশ সফল করতে কামারখন্দে দলীয় কার্যালয়ে আমরা আলোচনা সভা করি। সেখানে কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, জেলা বিএনপির সভানেত্রী রুমানা মাহমুদসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে আমরা রেলওয়ে স্টেশনে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’
সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এ সময় তারা সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশ আমাদের ওপর ছররা গুলি ছোড়ে। এতে রুমানা মাহমুদ ও আমিসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হই।’
বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, ‘বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয়, বরং তাদের মধ্যেই গ্রুপিং রয়েছে। দুই গ্রুপে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে স্টেশন এলাকায় আওয়ামী লীগের ৬-৭ জন নেতাকর্মীর ওপর তারা হামলা চালিয়ে আহত করে।’
সিরাজগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ বলেন, ‘বিএনপি তাদের প্রোগ্রাম শেষ করে জামতৈল স্টেশন এলাকায় দোকান-পাট ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর শুরু করে। বাঁধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্রও ছিল। তাদের হামলায় আমি ও থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হই। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুনঃ