চ্যানেল এস ডেস্ক:
চাঁদাবাজি মামলায় জামিন পাননি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ৭ নম্বর মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী।
আজ সোমবার (১৫ মে) দুপুরে বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিবিশন বেঞ্চে (১৬ নম্বর আইটেম) জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে খারিজ করে দেওয়া হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সহ মামলার ৯ আসামী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দিয়েছে।
এর আগে 'পরোয়ানার পরও অফিস করছেন চেয়ারম্যান, পুলিশের দাবি পলাতক' শীর্ষক সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদাবাজি, হেনস্তা ও টাকা লুটের মামলায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও আদালতে হাজির না হয়ে তিনমাস ধরে অফিস করছেন তিনি।
এদিকে প্রকাশ্যে সব কর্মকাণ্ড চালালেও পুলিশের দাবি তিনি পলাতক। চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার মোতাহের হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী। চাঁদা না পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ের দোকানঘর থেকে জোর করে ভাড়া তোলার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী গত বছরের ২৬ আগস্ট রাত পৌনে ৯টায় বাংলাবাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সহযোগীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি এনামুল হক ভুইয়ার (৬৮) ওপর হামলা করেন।
এসময় তাকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চেয়ারম্যানসহ তার ৮ সহযোগির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মুছাপুরের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মন্তব্য করুনঃ