নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মিজানুর রহমান (৩৮) নামে এক প্রবাসীর উপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক নেতার ইন্ধনে ওই হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
বুধবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান ওই এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে ও কাতার প্রবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানানা, বুধবার (৫ জুন) রাতে মিজানুর রহমান বসুরহাট বাজার থেকে এসে তার বাসার প্রবেশ করার সময় হামলাকারীরা তার পথরোধ করে হাতুড়ি ও রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দিতে গেলে ওই ছাত্রনেতার হস্তক্ষেপে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে গত রবিবার (৯ জুন) নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
ওই আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন এ আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের আদেশ পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।
মামলার আসামিরা হলো-বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মো. সুজন (২২), আবুল কাশেম (৪৮), মো. জাকির হোসেন (৪৭), আবু নাছের (৪৬) ও কাউছারা আক্তার পাখিসহ (৪২) অজ্ঞাত ৪-৫।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের অভিযোগ থানা মামলা নিলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আসামিরা তাকে পুনরায় মারধর করে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব আচার্যকে তার মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুনঃ