গাজীপুরের বাসন থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কমিটি ঘোষণার সময় কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে হামলা-ভাঙচুর করেছে পদ বঞ্চিত নেতাদের বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা।
বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাসন থানা আওয়ামী লীগ সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে বিকাল ৩টার দিকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান থানা কমিটির প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন। এসময় মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মণ্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সভাপতি পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রফেসর আব্দুল বারী বাসন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪-৫ তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। অন্যরা প্রত্যাহার করেনি। পরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেমকে সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে সফিকুল ইসলাম সফি, আমির হোসেন ও রকিব সরকারের নাম ঘোষণার পরপরই পদ বঞ্চিতরা সম্মেলন স্থলে হৈচৈ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা সম্মেলন স্থলে ভাঙচুর চালায়। তারা মঞ্চের সামনে সহস্রাধিক চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, পতাকা স্ট্যান্ড, সাউন্ড সিস্টেম ভাঙচুর করে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে এ তাণ্ডব। পরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন সরকার রিপনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রং বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন আর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন।
মন্তব্য করুনঃ