• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:০৮:৩৭ (25-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

গরু খামারিকে পিটিয়ে লাখ টাকা মুক্তিপণ নিলো ছাত্রলীগ সভাপতির ভাতিজা


মঙ্গলবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২২ সকাল ০৯:০৮



গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে লাখ টাকা মুক্তিপণ নিলো ছাত্রলীগ সভাপতির ভাতিজা

হাবিবুর রহমান (জেলা প্রতিনিধি): নারায়ণগঞ্জে চাঁদার দাবিতে জামাল হোসেন (৪৫) নামে এক গরুর খামারীকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের ভাতিজা অন্তর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে টানা ৪০ মিনিট ওই খামারীকে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে নগদ ৫০ হাজার এবং দুই ঘণ্টা পর স্ত্রীকে দিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী জামাল হোসেন। ইতোমধ্যে জামাল হোসেনকে নির্যাতন ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।   থানায় লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বাদী জামাল হোসেন জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ফতুল্লা শাখায় ব্যবসায়িক কাজে গেলে অজ্ঞাত এক মোবাইল নম্বর থেকে ফতুল্লা বাজারের সাথে প্রাইমারি স্কুলের সামনে আসতে বলে। সেখানে গিয়ে দেখি ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের ভাতিজা আনিসুল হক অন্তরসহ আরও ৫/৬জন দাঁড়িয়ে আছে। ওই সময় তারা আমাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে লালপুর, ইসরাফিল রোড, হরিস চৌধুরীর গার্মেন্টেসের পার্শ্বে নিয়ে যায় এবং আমার সাথে থাকা পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘরে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা মোবাইল যোগে আমার স্ত্রী ইয়ানূরকে বাসা থেকে নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু বাসা হতে টাকা আনতে দেরি করায় বিবাদীরা আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে মোটা লোহার পাইপ দিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট পেটাতে থাকে। এ দৃশ্য গার্মেন্টে থাকা কর্মীরা দেখেছে। কিন্তু কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর স্ত্রী টাকা নিয়ে আসলে বিবাদীরা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দ্রুত উক্ত স্থান ত্যাগ করে।

তিনি আরো জানান, তার স্ত্রী তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। চিকিৎসার পরে জ্ঞান ফিরলে তার স্ত্রী জানান, বিবাদীরা আরো হুমকি দিয়েছে যে, এই বিষয়ে পুলিশকে জানালে পা কেটে ফেলবে, জানে মেরে ফেলে, লাশ গুম করে ফেলবে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম জানান,  আমার ভাতিজা আমরা এক বাসায় থাকি না। এ ঘটনা সম্পর্কে জানা নেই।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, বাদীকে ফোন দিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে যেতে। কিন্তু সে ভয় পাচ্ছে। আমরা তাকে অভয় দিয়েছি এর সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ