• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৭ই পৌষ ১৪৩১ রাত ০৯:৫৯:৪৭ (21-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

টোরি নেতৃত্বে লিজ ট্রাস, হচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী


সোমবার ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ সকাল ০৯:১৪



টোরি নেতৃত্বে লিজ ট্রাস, হচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের দৌড়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে হারিয়ে নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর সোমবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। ট্রাসই হতে চলেছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার তিনি ও বর্তমান তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্কটল্যান্ডের বালমোরালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

রানির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন জনসন। বিদায়ী ভাষণও দেবেন তিনি। এরপর রানির উপস্থিতিতেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ট্রাসের অভিষেক হবে।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারির কারণে বিরোধিতার মুখে পড়ে গত জুলাই মাসে দলীয় নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তারপরই কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্টি নেতৃত্বের দৌড়ে ভোটাভুটি শেষ হয়। প্রায় দুমাস ধরে চলা নেতা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত ধাপের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক।

প্রথম দিকের ভোটে ভারতীয় বংশাদ্ভুত ঋষি সুনাককেই এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল। এতে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা জোরদার হচ্ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে দৃশ্যপট।

ভোটাররা বরিসের মন্ত্রিসভায় সুনাকের কার্যকারিতাও বিশ্লেষণ করে দেখেছে। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সময় সুনাক চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার হিসেবে তেমন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

এমনকী সম্প্রতি লিজ ট্রাসের সঙ্গে মুখোমুখি টিভি বিতর্কে তার কর-হ্রাসর নীতির তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন সুনাক। কেউ কেউ বলছেন, এসব কারণে ভোটারদের নিজের দিকে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন সুনাক।

তবে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং দৃঢ় নির্বাচনী প্রচারের জন্য সুনাককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিজ ট্রাস। জয়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস এই ধন্যবাদ জানান।

তবে সুনাককে হারিয়ে ট্রাস জয়ী হলেও বিপুল ভোট তিনি পাননি, যেমনটি অনেকেই ধারণা করেছিলেন। ট্রাস ৫৭ শতাংশ সদস্যের ভোট পেয়েছেন; যেখানে তার আগে ২০১৯ সালে জনসন পেয়েছিলেন ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট এবং তারও আগে ২০০৫ সালে ডেভিড ক্যামরন পেয়েছিলেন ৬৭ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট।

ট্রাসের জয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ঋষি সুনাক এক টুইটে বলেছেন, কনজারভেটিভরা ‘একই পরিবার’। তাদের সবারই নতুন নেতার নেপথ্যে একতাবদ্ধ হয়ে থাকা দরকার। ট্রাসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বরিস জনসনও। তিনি ট্রাসের বেশ কিছু অর্জনের কথাও তুলে ধরেন।

জনসন বলেন, “আমি জানি তিনি জীবনযাত্রা সংকট সামাল দেওয়া, দলকে একতাবদ্ধ রাখা এবং দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও নির্বিঘ্ন রাখার মহান কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনাই নিয়েছেন। এখন সব কনজারভেটিভ সদস্যেরই তাকে ১০০ ভাগ সমর্থন দিয়ে যাওয়ার সময়।”

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ





















-->