• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১১ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০২:৩০:২৭ (25-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ গ্রেপ্তার ১১


সোমবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২২ সকাল ০৭:২৯



দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ গ্রেপ্তার ১১

দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ গ্রেপ্তার ১১

 

খেলনা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ মহাসড়কে সংঘবদ্ধ আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের ১১ সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার আতুশাল এলাকায় ঢাকা—কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক এবং ব্যাংকের এটিএম বুথে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার জামালপুর গ্রামের মৃত. ছায়েব আলীর ছেলে ডাকাত সর্দার মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৮), ঢাকা জেলার কদমতলী থানার মিরাজনগর বি—ব্লকের মৃত আ. করিমের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবুল (৩৫), একই এলাকার  মৃত আ, করিমের ছেলে জব্বার ওরফে লিটন (৪৮),খুলনা জেলার তেরখাদা থানার সেনের বাজার এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৭), ঢাকা জেলার কদমতলী থানার মদিনাবাগ এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৬),বরগুনা জেলার বামনা থানার খচুনি চুড়া গ্রামের মৃত একুব আলী খানের ছেলে সজিব খান (৩০), কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার কদমচাল এলাকার আসাদ মিয়ার ছেলে জাকির (২৮),সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল থানার মাইজদী এলঅকার মৃত জয়নালের ছেলে হোসেন মিয়া (৫২), নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার মিয়াপুর এলঅকার আবু জাফরের ছেলে জাকির হোসেন(৩২), লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর থানার সাকচর গ্রামের আমির উদ্দিন ওরফে আমিরুলের ছেলে রিপন (২৭), মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ থানার গোয়াবাড়ী এলাকার মৃত মনা মিয়ার ছেলে সবুজ (৩৮)।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিস্চিত করেন র‌্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানাধীন আতুশাল এলাকায় ঢাকা—কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক এবং ব্যাংকের এটিএম বুথে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণকালে ডাকাত চক্রের ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামীদের হেফাজত হতে ৫৪টি ককটেল, ০৪টি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি চাপাতি, ১টি খেলনা পিস্তল এবং ১টি হায়েস মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন। এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি এর আগেও পরষ্পর যোগসাজশে পূর্ব—পরিকল্পনামাফিক ঢাকা—কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ীসমূহ এবং আশে—পাশের বিভিন্ন বাসা ও দোকানে  তাদের ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। গতকাল রাতে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা—কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বিভিন্ন নির্জন স্থানে গাড়ি ও একই এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ ডাকাতি করা। তাদের ডাকাতি কাজের ধরন ছিল ব্যবহৃত মাইক্রোবাস দ্বারা ব্যারিকেড সৃষ্টি করে চলন্ত গাড়ীর গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ককটেল ও খেলনা পিস্তল প্রদর্শন করে চলাচলরত যাত্রীসাধারণদের ভয়ভীতি, আতঙ্ক সৃষ্টি শেষে মাইক্রোবাসযোগে দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যাওয়া। দুষ্কৃতিকারী এই ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করতে গিয়ে কখনও কখনও জনসাধারণকে মারধর, ছুরিকাঘাত ও গাড়ি ভাংচুরসহ গুরুতর জখম এমনকি প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ