ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মজুরি, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে বরগুনায় নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান রয়েছে। এতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
নৌযান শ্রমিকরা জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসার ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন ভাতা বৃদ্ধি করছে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। দাবি না মানলে ধর্মঘট চলমান থাকবে বলেও জানান তারা।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
প্রসঙ্গত, একই দাবিতে শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের নৌযান শ্রমিকরাও।
মন্তব্য করুনঃ