০৮:৫৫ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
কুষ্টিয়ার, দৌলতপুর মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় গ্রামের পদ্মানদীর পাড়ে গলায় ফাঁশির দড়ি নিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দাবীতে অর্ধশতাধিক যুবক ও ভুক্তভোগী “মানববন্ধন”।
বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার জলবায়ু যোদ্ধারা জলবায়ু সুবিচারের দাবীতে আওয়াজ তুলেছে তাদের দাবি "নয়া সবুজ চুক্তির", টেকসই বাঁধ নির্মাণ সহ টেকসই সুস্থ জলবায়ুর। তারই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক জলবায়ু কর্মী ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবীতে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট এর দিনে প্রতীকী ফাঁসি মঞ্চ তৈরি করে তাদের দুঃক্ষ ও দূর্রদশার কথা জানায় দেয়। তাদের ভাষ্য মতেপদ্মা পাড়ের মানুষের জীবন টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁশির দড়ি নিয়ে চলার মতো, নদী ভাঙনে পাড় ভাঙে সর্বস্ব হারানো আর ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পড়ে মরা তাদের জন্য একই বলে দাবি করেন তারা। একই সাথে তারা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের নয়া সবুজ চুক্তির দাবী জানিয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী এ মানববন্ধন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উন্নয়ন কর্মী ইসতিয়াক সয়ন এবং উন্নয়ন কর্মী গোলাম মওলা রনি, তারা বলেন ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য দূষণমুক্ত জ্বালানীর পথরেখাই হলো নয়া সবুজ চুক্তি। বৈষম্য ও জলবায়ু সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর অবশ্যই গ্যাস বাদ দিয়েই হতে হবে বাংলাদেশের নয়া সবুজ চুক্তি। এই চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকাকে দেশের সকল প্রকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র বাতিল করার আহবান জানিয়েছে। এইসব প্রকল্প বাতিল করে সেইসব স্থানকে এখনই সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা উচিত। আর ওই পথে হাটলে ২০৫০ সালের ভেতর শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে রূপান্তর ঘটানো যাবে।
মন্তব্য করুনঃ