• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০১:৫৬:৫৫ (02-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে পাহাড়ি ঝর্ণা ব্যবহার করে কুকি চিন


সোমবার ৮ই এপ্রিল ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬



সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে পাহাড়ি ঝর্ণা ব্যবহার করে কুকি চিন

ছবি: সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক: 

ভৌগোলিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সশস্ত্রভাবে সংগঠিত হওয়ার পাশাপাশি বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে যেমন সংগঠনটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, তেমনি শহর অঞ্চলে হামলা চালিয়ে আবার হাইড আউট পয়েন্টে লুকিয়ে থাকতে পারছে। এমনকি দুর্গম অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অভিযান চালিয়েও উল্লেখযোগ্য সফলতা পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

বান্দরবান সদর উপজেলা ছাড়া বাকি উপজেলাগুলোকে দুর্গম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, রুমা ও থানচি; এসব উপজেলায় রয়েছে শতশত ঝিরি বা পাহাড়ি ঝর্ণা। আর এসব ঝর্ণাকেই পথ হিসেবে ব্যবহার করছে কুকি চিনের সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থান নেয়ার পর এসব ঝর্ণা দিয়ে তারা লোকালয়ে চলে আসে। এরপর চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হামলা চালাচ্ছে। 

এমনকি রুমায় সোনালী ব্যাংকে যে হামলা চালানো হয়েছিল, তখনও তারা এ পথ ব্যবহার করে। প্রথমে তারা ব্যাংক ও মসজিদে পৌঁছায়। এরপর মসজিদে গিয়ে প্রথমে হামলা করে মুসল্লিদের ওপর। এরপর তারা চেষ্টা করেছিল সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভাঙতে। সেটা ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এ পথে নিয়ে গিয়েছিল তাদের গোপন আস্তানায়। 

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ঝর্ণার পথ ধরেই তারা এসে হামলা চালিয়েছিল। আবার একই পথে ফিরে গিয়েছিল।  

বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে অসংখ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল কুকি চিনের সন্ত্রাসীরা। এমনকি বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের টাকার বিনিময়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতো এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। অবশ্য যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেশকটি গোপন আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তারপরও পুরোপুরি দমন করা যায়নি কুকি চিনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। 

বান্দরবানের দুর্গম উপজেলাগুলোতে নাথান বম ও তার অনুসারীদের আস্তানা হিসেবে যেসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোতে যানবাহন নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে অভিযান চালাতে গিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়তে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে পৌঁছাতে হয় সেসব আস্তানায়। এর ফাঁকে আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেয় কুকি চিনের সন্ত্রাসীরা। 

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুরো রুমা উপজেলায় ৩৫ হাজার লোকের বসবাস। প্রত্যেকে আছে পাহাড়ে। একটা পাহাড় থেকে আরেকটা পাহাড়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর বিষয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কুকি চিন।’ 

প্রায় সাড়ে চার হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় বাঙালিসহ পার্বত্য অঞ্চলের আরও ১১টি জনগোষ্ঠীর অন্তত ৫ লাখ লোকের বসবাস। তবে রাঙামাটি কিংবা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় শান্তিচুক্তি নিয়ে জেএসএস এবং ইউপিডিএফের বিরোধ থাকলেও বান্দরবানে তার তেমন কোনো প্রভাব নেই। এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিনের সন্ত্রাসীরাই পুরো প্রশাসনকে তটস্থ করে রেখেছে। 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ