হাসপাতালে মায়ের মরদেহ, অথচ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে সুমাইয়াকে। সুমাইয়ার এ শোকের সময় পাশে ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনসারুল করিম। সুমাইয়ার বেদনাতুর ওই দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নিজ গাড়িতে করে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়ে নিজেই উপস্থিত থেকে সুমাইয়াকে পরীক্ষায় অংশ নিতে সতায়তা করেন।
সুমাইয়া পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪.০৬ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়।পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সেই ফল উৎসর্গ করে পানছড়ি থানার ওসি মো. আনসারুল করিমকে।
সুমাইয়ার বাবা মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মেয়ের পাশাপাশি রফিকুল ইসলাম নিজেও ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার দিন সুমাইয়া আক্তার যখন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই খবর আসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মা মারা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সুমাইয়া। নেয়া হয় পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। খবর পেয়ে ওসি মো. আনসারুল করিম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় সুমাইয়াকে নিজ গাড়িতে করে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই মা হারানোর কষ্টকে বুকে চেপে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় বসে সুমাইয়া।
এক প্রতিক্রিয়ায় অদম্য সুমাইয়া ভবিষ্যতে অনেকে দূর এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনসারুল করিমের।
মন্তব্য করুনঃ