চ্যানেল এস ডেস্ক:
শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার ঠিক করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ দাবিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ‘বাংলাদেশ মোটরসাইকেল কমিউনিটি’ ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এতে শতাধিক মোটরসাইকেলচালক অংশ নেন। তাঁরা বলেন, শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ বিজ্ঞানসম্মত নয়। তা ছাড়া একই সড়কে ভিন্ন ভিন্ন যানবাহনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমা দুর্ঘটনা আরও বাড়াবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। তাই এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
দেশের কোন সড়কে কোন ধরনের যানবাহন কত গতিতে চলবে, তা ঠিক করে সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ইতিমধ্যে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। নির্দেশিকায় শহরের ভেতর মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। আর এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ ৬০, জাতীয় মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে। আজ বিভিন্ন স্লোগান লেখা ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিআরটিএ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন মোটরসাইকেলচালকেরা। এতে লেখা ছিল, বেপরোয়া গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ না করে মোটরসাইকেলের জন্য কেন এই অযৌক্তিক নিয়ম? ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালালে পেছন থেকে অন্য যানবাহন ধাক্কা দেবে না, এর নিশ্চয়তা কে দেবে?
মানববন্ধনে মোটরসাইকেলচালকেরা বলেন, একই রাস্তায় ভিন্ন গতিতে বাস ও মোটরসাইকেল চলতে পারে না। বাসের গতি বেশি নির্ধারণ করায় মোটরসাইকেলচালকদের জীবনের ঝুঁকি বাড়বে। তাই তাঁরা সব ধরনের মোটরযানের জন্য সমান গতি নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এ কে এম ইকবাল মাহমুদ নামের এক মোটরসাইকেলচালক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতিসীমা নির্ধারণ করা হলো কিসের ভিত্তিতে? এই সিদ্ধান্ত বিজ্ঞানসম্মত নয়। আমি গত ২-৩ দিন ধরে রাস্তায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। নির্ধারিত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গেলে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন আমাদের পেছন থেকে ধাক্কা দেবে। এতে আমাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়বে। তাই এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাই।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাব্বির হোসেন নামের আরেক মোটরসাইকেলচালক প্রথম আলোকে বলেন, একই রাস্তায় বাসের গতি বেশি রাখা হয়েছে, মোটরসাইকেলের গতি কম। দুই ধরনের গতিসীমা দুর্ঘটনা আরও বাড়াবে। বিশ্বের কোনো দেশেই যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করা হয় না। নির্ধারণ করে দেওয়া হয় রাস্তার গতি।
আলাদা লেনব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত সব যানবাহনের জন্য সমান গতি নির্ধারণের দাবি জানান মোটরসাইকেলচালক আসাদুজ্জামান রাজ।
মন্তব্য করুনঃ