০৭:১১ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
নলছিটি প্রতিনিধি : উপকূলীয় ঝালকাঠির জেলার নলছিটি মগড়ে ইউনিয়নের কাঠিপাড়া মেরহার গ্রামে অফ সিজনে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেলেন শিক্ষিত যুবক আল আমিন ফকির। তিনি অনলাইন ইউটিউভে অফ সিজনে তরমুজ চাষ করে অদিক লাভবান হওয়ার তথ্য পেয়ে এতে তিনি তরমুজ চাষে আগ্রহী হন। পরে তিনি জেলার নলছিটি কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের এসএসিপি প্রজেক্টটের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতায় নিজ মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচা (যাহা) পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ জমিতে তরেমুজ চাষ করে আল আমিন। তিনি কৃষি কাজে অল্প সময় ব্যয় করেই সফলতার স্বপ্ন দেখছে। সকালে ২ ঘণ্টা ক্ষেত খামার দেখাশুনা করে অন্য কাজে চলে যান এবং পরে বিকেলে আবার কৃষি কাজে মনোযোগ দেন তিনি তবে তিনি জানান তরমুজ চাষে বেশি সময় ব্যয় করতে হয়না যে কোন কাজের ফাকেঁ চাষাবদ করা যায়। তিনি জুন মাসে অফ সিজনের তরমুজের বিজ রোপন করলে তিন সাড়ে তিন মাষের মধ্যে গাছ থেকে তরমুজ বিক্রীর উপযোগী হয়ে যায়। তার ক্ষেতে প্রতিটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৪ চার কেজি পর্যন্ত ফলন হয়েছে। ক্ষেতে যে পরিমান ফলন হয়েছে তার আমুমানিক বাজার দর হতে পারে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ।
বাংলাদেশে শুধু মাত্র চৈত্র, বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসে তরমুজ পাওয়া যেত। এখন অফ সিজনে তরমুজ চাষ হওয়ার কারনে অন্য সময়তেও পাওয়া যাচ্ছে এবং ওই সময়ের চেয়ে কৃষকরা অফ সিজনের তরমুজ চাষে ভালো লাভবান হওয়ায় কৃষকদের অফ সিজনের তরমুজ চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
অফ সিজনে ভালো ফলন হওয়ায় আশেপাশের গ্রামের লোকজন তার ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে। সুস্বাদু জাতের এ তরমুজ দোকানে কেজি প্রতি ১শত টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
কৃষি অফিসাররা ক্ষেত পরিদর্শন করে আশানুরূপ ফলন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামীতে তরমুজ সহ অন্যান্য কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন নলছিটি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুনঃ