ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী থেকে :
ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং” এর প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ।
সোমবার ভোর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বান্ধাখালী, মোল্লা গ্রাম, মুন্সিগ্রাম ও মদিনা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন। এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরী সভা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
রেডক্রিসেন্টও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নোয়াখালী ইউনিট সেক্রেটারি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং” মোকাবিলায় হাতিয়াতে ২৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম হোসেন।
সম্ভাব্য প্রস্তুতি হিসেবে ৩ লাখ লোক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৪০১ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র, ১০১টি মেডিকেল টিম, ২শ ৫০ মেট্রিক চন চাল, নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ৭শ কার্টুন বিস্কুট মজুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
মন্তব্য করুনঃ